
হাজার সংবাদ ডেস্ক: মার্চ মাসের শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত বন্ধ স্কুল এবং সবকিছু মিলিয়ে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার মাস বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল-কলেজ। গরমের ছুটি বাদ দিয়েও ছুটির অন্ত নেই। সমস্ত নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল শিক্ষা পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছিল করোনা সংক্রমনের জন্য এই মহামারী কালে ছাত্র-ছাত্রীদের সিলেবাস কমানো হবে। তাতে একটু হলেও চাপ কমবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা হবে।
তবে রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী নয়া নিয়ম আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের সিলেবাস কমানোর থেকে শিক্ষাবর্ষ পিছলে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা বাড়বে। তাতে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী অনেক বেশি ভালো সুযোগ-সুবিধা মিলবে ভবিষ্যতে। কারণ সিলেবাস কমালে উচ্চশিক্ষার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক সমস্যা হতে পারে এবং যদি সিলেবাস কমানো হয় তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান অনেক কম থাকবে তার জন্য সিলেবাস কমানোর চিন্তা-ভাবনা মাথা থেকে বের করে দিতে চাইছে শিক্ষা পর্ষদ।
যদিও নতুন করে কোন নয়া নিতি শুরু হয়নি তবে খুব শিগগিরই সেই নিয়ম আসতে চলেছে বলে দাবি করছে রাজ্য সরকার কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার কথা এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখতে গেলে তাহলে সিলেবাস কমালে অনেক সমস্যায় পড়বে এবং উচ্চশিক্ষায় যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পাস করেছে এখনও পর্যন্ত তাদের সাথে পরবর্তীকালে এই সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের ট্যালি করতে সমস্যা হবে তাতে চাকরির ক্ষেত্রে মান ঠিকঠাক পাবে না। তাই সিলেবাস কমালে পড়াশোনার মান কমবে। যাতে শিক্ষাব্যবস্থার মান না কমে তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে শিক্ষা পর্ষদ।
সিলেবাস কমালে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা বাড়বে তার কারণ সিলেবাসের মধ্যে থেকে যে সমস্ত অধ্যায়গুলো কে বাতিল করা হবে সেই অধ্যায় গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরাও অজ্ঞ থেকে যাবে। যার জন্য সিলেবাস বদলানোর থেকে শিক্ষাবর্ষে সময়সীমা পিছানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ সারা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা থমকে গেছে। তাই সব দেশেই এখন একই অবস্থা তাতে যদি এদেশে করোনা পরিস্থিতির জন্য বর্ষ পিছনে হয় তাতে কোন সমস্যা হবে না। কারণ সেখানে হয়তো একই রকম নিয়মাবলী আসবে বলে ধারণা করছে সবাই।
শিক্ষাবর্ষ পিছনের সাথে সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের আরো কি কি নিয়ম আসতে পারে এবং শিক্ষাবর্ষ পিছনে ছাত্রছাত্রীরা কি কি নিয়ম মেনে পরীক্ষায় বসতে পারবে তার নিয়ম কানুন নিয়ে আসবে শিক্ষা পর্ষদ। যদি এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ম কারণ এর কোনো বাধ্যবাধকতা করা হয়নি। সরকার থেকে তবে খুব শীঘ্রই জানানো হবে শিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস বদলানোর থেকে বর্ষ পিছনে অনেক দামী। কারণ তাদের ছাত্রছাত্রীরা পুরোটা জানবে কিন্তু একটা বছর তাদের সেটা শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জন্য নয়। সমস্ত শিক্ষা পর্ষদের এখন একই রকম অবস্থা তাতে কোনো আপত্তি বা অন্য রকম কোন বিধি আসতে পারে বলে মনে হয় না তার জন্যই এই নিয়ম হতে চলেছে শিক্ষা পর্ষদের জন্য সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে।