
হাজার সংবাদ ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় থাবা ব্রিটেনে। এবার আরও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এই মারণ ভাইরাস। সবেমাত্র আশঙ্কা করা হচ্ছিল যেখানেই টেম্পারেচার কম রয়েছে সেখানে এই ভাইরাস দ্বিতীয় থাবা বসাতে পারে। আর ব্রিটেনের তাপমাত্রা এখন অনেকটাই কম প্রায় ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি আর এর মধ্যেই মারন ভাইরাস দ্বিতীয়বার থাবা বসিয়েছে। একটু হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা গেছিল কিন্তু কয়েক সপ্তাহ হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।
প্রত্যেকদিন প্রায় ৬০০০ করে সংক্রমণ বাড়ছে তার সাথে বাড়ছে হাসপাতলে ভর্তি হওয়া। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন যে খুব তাড়াতাড়ি এর পদক্ষেপ নিতে হবে তা না হলে এই মরণ ভাইরাস আবার মারাত্মকভাবে থাবা বসাবে। তার আগেই আমাদের প্রত্যেকটা স্টেপ বুঝে শুনে নেওয়া উচিত এবং সেই মতো তিনি এটাও জানিয়েছেন যে আবারও হয়তো খুব তাড়াতাড়ি জারি হতে পারে ওয়াক ফ্রম হমে নির্দেশ। বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিক এবং বিশেষজ্ঞরা ও জানাচ্ছে যে যদি করোনার টিকা বছর শেষের আগে না আসে তাহলে আবারও বাড়তে পারে করোণা সংক্রমণ। তার দ্বিতীয় থাবা এতটা ভয়ঙ্কর হবে যেখানে মানুষ নিজেকে বাচানো অনেকটাই কঠিন হয়ে উঠবে এবং তার সাথে হাসপাতালে বেড পাওয়া অনেক মুশকিলের। বিশেষত ভারতের জন্য। যদিও ব্রিটেনে এই মুহূর্তে অনেক রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কারণ প্রথম যখন এসেছিল এতটাও কোন অভিজ্ঞতা ছিলোনা কিন্তু এখন অভিজ্ঞতা অনেকটাই বেড়েছে তার জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে যে খুব তাড়াতাড়ি তারা নির্দেশ দেবে ওয়ার্ক ফর্ম হোমের এবং রেস্তোরাঁ ক্লাব পাব এছাড়াও বিভিন্ন জায়গা ১০ তার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জারি করা হবে আবারও লকডাউন।
সংক্রমণ মাত্রা বাড়তে থাকে তাহলে আবারও ডাকা হতে পারে লকডাউন এবং নির্দেশ যেমন আছে তেমনই থাকবে হয়তো। কারণ এই মুহূর্তে জনসমাগম সম্ভব নয় আবহাওয়ার জন্য যে অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে তার জন্য একটু হলেও আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। আর সেই জন্যই সবেমাত্র খোলা হয়েছিল অফিস-আদালত, বন্ধ হয়েছিল ওয়াক ফ্রম হোম পরিষেবা আর আবারও চালু করা হচ্ছে ওয়ার্ক ফর্ম হোম পরিষেবা। তা না হলে সংক্রমণ আটকানো সম্ভব নয়। শুধুমাত্র এই নিয়ম মানাতে হবে তা নয় তার সাথে মানতে হবে আরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ। অন্যান্য দোকান এবং এছাড়াও বেশ কিছু জায়গা একেবারেই বন্ধ করতে হবে জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জন্সন।
কয়েকদিনের সমীক্ষায় তিনি জানিয়েছে যে এতদিন যাবত আমাদের দেশের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছিল। কিন্তু প্রায় ৮ দিনে তার দ্বিগুণ হচ্ছে সংক্রমনের মাত্রা। তার জন্য খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার প্রত্যেকদিন ছয় হাজারের বেশি সংক্রমণ বাড়ছে হঠাৎ করে এই সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছে বিভিন্ন চিকিৎসক এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা তারা নিজেরাই বলছে এই সময় বাড়তে পারে সংক্রমন অনেক বেশি। তার কারণ সেখানে এখন ঠান্ডা আবহাওয়া ঠান্ডা আবহাওয়ায় সংক্রমণ অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে থাকবে আর তার জন্য এটা ঘটছে। সেই জন্য আগেভাগে চিন্তাভাবনা নিয়েছে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সবকিছুর জন্য এই জন্যই খুব তাড়াতাড়ি হাতের কাছে আসা উচিত করোণা ভ্যাকসিন। যদিও এখন বিভিন্ন দেশের মধ্যে লড়াই চলছে কে আনতে পারবে এই টিকা কিভাবে আসবে এই টিকা তার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বিভিন্ন ট্রায়াল’পদ্ধতিও চলছে। এখনো পর্যন্ত সামনে আসছে না কোন টিকা তবে তার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে যাতে খুব তাড়াতাড়ি সেই ব্যবস্থা হয়। তার জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে যদি এ বছরের শেষে ভ্যাকসিন আসে তাহলে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ আটকানো সম্ভব তা না হলে কোনোভাবেই সম্ভব নয় করণা সংক্রমণ রক্ষা। দ্বিতীয় থাবা অনেক বেশি ভয়ংকর কারণ অনেক বেশি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আসবে তা থামানো সাধারণ মানুষের কাম্য নয়। কারণ প্রথম স্টেজে এখনো পর্যন্ত টিকা তৈরি করতে পারেনি আর দ্বিতীয় স্টেজে আসলে সেখানে অনেক বেশী ক্ষতি হতে পারে তার জন্য একটু তারা লাগিয়ে কাজ চালাতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা এবং চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।