
হাজার সংবাদ ডেস্ক: অত্যাধুনিক মেটেরিয়াল নিয়ে কাজ করার পরেও ভেঙে পড়ছে বহু ব্রিজ তার একমাত্র উদাহরণ কলকাতা। যেখানে দু’বছরের মধ্যে প্রায় 4 থেকে 5 টা ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আছে বহু ব্রিজ উড়ালপুল ও মানুষ। এবার নজর বন্দি হলো বিহারের আরো একটি ব্রিজ যা মাত্র তৈরি করার 29 দিনের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে। 263 কোটি টাকা দিয়ে এই ব্রিজ তৈরি করা হল বেশ কিছুদিন আগে। বহুদিন ধরে কাজ চলার পর তৈরি হয়েছিল এই ব্রিজ তা মাত্র 29 দিনে ভেঙে গেল। উদ্বোধন হয়েছে 29 দিন আগে তারপর থেকেই এই 29 দিন গাড়ি চলায় ভেঙে পড়েছে ব্রিজ। এখনো পর্যন্ত ততটাও গাড়ির চাপ নেই যেহেতু করোনা ভাইরাসের জন্য গাড়ি অনেক কম চলে কিন্তু মাত্র 29 দিনে ভেঙে পড়া নিয়ে সেখানকার মানুষজন মুখ্যমন্ত্রী ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে।
বিহারে গোপালগঞ্জ এলাকায় এই সেতু প্রায় আট বছর ধরে তৈরি হয়েছিল। যা নির্মাণ করতে খরচ হয়েছিল 263 কোটি টাকা তবুও ব্রিজের শক্তপোক্ত নয়। বুধবার হঠাৎ করেই ভেঙ্গে পড়েছে গান্ডেক নদীর উপরে। সাত্তার ঘাট ব্রিজ বহু পুরানো একটি ব্রিজ যার কাজ চলছিল আট বছর ধরে কিন্তু তাও কাজ সফল হল না, মাত্র 29 দিনে ভেঙে পড়ল একটি ব্রিজ।
এখানে প্রায় তিন থেকে চারদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর জল বেড়ে ছিল এবং এখনো পর্যন্ত সেখানে একাংশ এলাকা জলের তলায় এবং নদীর জল বাড়ায় ক্যালভার্ট সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল অন্য একটি রাস্তা। তার ফলে কালভার্ট ভেঙে পড়ে। নতুন একটি ব্রিজ যা 16 ই জুন উদ্বোধন করেছিল বিহার মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার। উদ্বোধনের দিন তিনি বিভিন্ন ছবি পাঠিয়েছিলেন সেক্রেটারি মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে হলেও ব্রিজের কাজে সঠিকভাবে হয়নি তার প্রমাণ মিলেছে আজ। শুধু তাই নয় ব্রিজ ভাঙা নিয়ে বিপরীত রাজনৈতিক দল হাজার প্রশ্ন তুলেছে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর। রাজনৈতিক দলের একাংশ জানিয়েছে বিহারের সমস্ত কাজকর্মে লুটে খাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা যোদ্ধাদের ১০ লক্ষ টাকার বিমা ও পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরির দেবে রাজ্য
যেখানে জনসাধারণের জন্য কাজ করছে না রাজনৈতিক দল বরং সমস্ত কিছু লুটে খাচ্ছে তারা নিজেদের পকেট গোছাচ্ছে। এত কোটি টাকা খরচ হওয়ার পরে কেন এই ব্রিজ ভেঙে পড়বে মাত্র 29 দিনে তাই নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে। বিপরীত তাদের উক্তি ব্রিজ ভাঙাটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার নয় নতুন একটি ব্রিজ নদীর জল বাড়বে ইঞ্জিনিয়াররা জানে তাহলে সেই ব্রিজ কেনইবা ভেঙে পড়বে এটা কেবল মাত্র একটা অজুহাত। জল বাড়তেই পারে তাই বলে একটা নতুন ব্রিজ ভেঙে যাওয়া টাকে বিপরীত রাজনৈতিক দল মেনে নিতে পারছে না। তা নিয়ে কটাক্ষ বহুবার প্রশ্ন করছে মুখ্যমন্ত্রী কে।