
হাজার সংবাদ ডেস্ক: কেরালের অনুষ্ঠানের মতো একইভাবে বাংলাকেও জবাব দিতে হবে। কেরালাতে এখন একাধিক পরিমাণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং একের পর এক বিভিন্ন নিয়ম মেনেও সংক্রমণ আটকানো যাচ্ছেনা। ওনাম অনুষ্ঠানের পর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৭ দিনের ১.৫ লক্ষ সংক্রমণ হয়েছে কেরালাতে। সমীক্ষায় সেরকমই দেখা গিয়েছে আর বাংলাকেও সেই অনুষ্ঠানের হিসাব চোকাতে হবে। বাংলায় দূর্গা পূজার জন্য কেরালার মতই অবস্থা হবে বলে মনে করছে অনেক বিশেষজ্ঞরা। তা নিয়ে ব্যঙ্গ করে ওরা বলেছে যে পুজো না করায় অনেক ভালো, পুজো করলে তার হিসেব চোকাতে হবে বাংলাকে।
পুজো নিয়ে প্রথম থেকে একের পর এক বিভিন্ন রকম ভাবে মানুষের বিভিন্ন মতামত জানা গিয়েছে এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কিছু বিরোধী দল ছিল যারা কলকাতা হাইকোর্টে কেস করেছিল এবং সেই কেসের শুনানি হয়েছিল যে পুজো করা যাবে তবে সেই পুজোতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে এবং হিসাব রক্ষক হিসেবে পুজো কমিটির সমস্ত সদস্যদের কে হিসেব রক্ষা করে সেই হিসেবে দাখিলা জমা দিতে হবে নবান্ন। নবান্ন থেকে এসব হিসাব জমা পড়বে আদালতে। সেরকম নির্দেশ মিলেছিল এবং তারসাথে পুজো কমিটিকে দেওয়া টাকা খরচ করতে হবে। তবে পরীক্ষার জন্য এবং পরিস্থিতির জন্য সেই টাকা যেমন বরাদ্দ ছিল সেইটা কোনভাবেই বরাদ্দ ছিল না পুজো পরিক্রমা জন্য খরচ করায়। টা খরচ করতে হবে জনস্বার্থে।
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে এবং বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে কেরালা তে প্রথম থেকে এখনো পর্যন্ত এতটা ভাইরাস ইনফেক্ট এবং সংক্রমণ বাড়বে মানুষ ভাবতেও পারেনি। সেখানে কেরালার ঘটনা দেখার পর বাংলার মানুষের শিক্ষা হয়নি এবং বাংলার রাজ্য সরকার একের পর এক বিধিনিষেধ দিয়েছে ঠিক কথা কিন্তু পুজো আটকানোর কথা বলেননি বরং আরও জোর করে করা যায় কিভাবে তার ব্যবস্থা করেছে। কেরালা কে দেখে যখন বাংলা শিক্ষা হয়নি ঠিক একইভাবে বাংলার মানুষকে চোকাতে হবে এর দাম। পুজোর পরে অতিরিক্ত পরিমাণে সংক্রমণ বাড়বে তা নিশ্চিত জানিয়েছে বেশকিছু বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও পুজো হলে যেমন সংক্রমণ বাড়বে তার সাথে সাথে এখনো ভ্যাকসিন আসেনি সেই সংক্রমণ বাধলে তাহলে সেই সংক্রমণ কোনভাবে আটকানো যাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত বহু বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা।
আজকে সবে মাত্র চতুর্থী। সপ্তাহের প্রথম দিকে আর এই সপ্তাহের প্রথম দিনে মানুষের অফিস কাছারি খোলা আর তৃতীয়া থেকেই প্যান্ডেল খুলে দেওয়া হয়েছে তাই কাজের পরেও মানুষ নিজেদের প্যান্ডেল হপিং এর সামান্যতম মনন্নয়ন করছে এবং তার সাথে সাথে যারা দর্শনার্থীরা প্যান্ডেল হপিং আসছে তাদের সাথে অত্যধিক পরিমাণে ভীর তাই সেখানে পুলিশ এবং অন্যান্য সতর্কবার্তা জারি থাকলেও মানছে না সাধারণ মানুষ। একের পর এক ভিড় জমাচ্ছে মণ্ডপে এছাড়াও যেহেতু সপ্তাহের প্রথম দিকে এবং এছাড়াও সমস্ত যানবাহনে অত্যধিক পরিমাণে ভিড় রয়েছে। তার পরেও মানুষ বেরোচ্ছে প্যান্ডেল হপিং এখনই করোনার সংক্রমণ অনেক বেড়েছে এই চার থেকে পাঁচ দিন। এর সমীক্ষায় দেখা গেলে জানা যাবে যে মাঝে যে ভাবে কমে গেছিল সংক্রমণের হার তার থেকেও দ্বিগুণ পরিমাণ বাড়ছে এখন। তাহলে পূজার পর কিভাবে বাড়বে তা প্রত্যেকের একটা শঙ্খ্যায় রয়ে গেছে।
এদিকে জোরকদমে প্রত্যেকটা দেশে করোনার ভ্যাকসিন বানানো ট্রায়াল’ চলছে এবং বৈজ্ঞানিক মাধ্যমে সমস্ত প্রস্তুতিও চলছে কোথাও তৃতীয় আবার কোথাও বা দ্বিতীয় ট্রায়াল। এর পর করোনার ভ্যাকসিন আসতে আসতে প্রায় নভেম্বরের শেষে কিংবা ডিসেম্বরের শুরুর দিকে হতে পারে। আবার এমনও হতে পারে অনেক দেশে তৃতীয় টা শেষ হতে সময় লাগবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। করোনার ভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত সময় বলছে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির আগে হাতে পাওয়া যাবেনা। তার মধ্যে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন আসবে ভারতে আর সেই ভ্যাকসিন কারা পাবে না পাবে সেটা তালিকা হয়েছে সেখানে। সাধারণ মানুষ এখন কোন ভাবে টা পাবে না। তার থেকেও বড় কথা সবাই এই মুহূর্তেই ভ্যাকসিন পাবে না তাই পুজো হওয়াটা একটা বড় ভয়ের কারন সবার মনে। সেটা সবাই বুঝতে পারছে কিন্তু নিজেদেরকে সামলে বাড়িতে বন্দি করছে কোথায় বরং প্যান্ডেল হপিং এ বেরোচ্ছে নিজেদের আনন্দ এবং মনোন্নয়ন করতে।