
হাজার সংবাদ ডেস্ক: অনেক চেষ্টার পর এবার পুজোর নির্দেশ মিলেছে প্রশাসন থেকে। তবে পূজা হলেও মণ্ডপে ততটা ও বেশি খরচ হবে না এ বছর। বিভিন্ন রকম নিয়ম বিধি নিষেধ খরচ পূজামণ্ডপের খরচ কমবে যদিও। এবার পুজো অনেক ছোট করে হবে কিন্তু তাহলেও বিধিনিষেধ মানার জন্য করোনা প্রতিরক্ষা করতে খরচ বেড়ে যাবে প্রত্যেক পূজো মন্ডপে। এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় পুজো হবে কিন্তু সেই পুজো কিভাবে করা ভাবে করা সম্ভব তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। পুজো হওয়া নিয়ে সমস্যা ছিল কিভাবে পুজো হবে এখন সেটা নিয়ে সমস্যা।
বেশকিছু পুজো কমিটি জানিয়েছে যে পুজো করার জন্য খরচ এবং থিমের খরচ এবছর তেমন কিছু নেই ধরতে গেলে এবছর করোনাই আমাদের থিম। তবে সমস্ত পূজামণ্ডপের খরচ ছাড়া ও অন্যান্য খাতে খরচের হার প্রচুর পরিমাণে কারণ প্রত্যেকটা মণ্ডপে ঢুকতে গেলে এখন বেশ কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে তবেই প্রতিমা দর্শন সম্ভব। তা না হলে কোনভাবেই প্রতিমা দর্শন সম্ভব নয় কারণ প্রত্যেক রপূজামণ্ডপে রাখা হয়েছে সেনিটাইজার এবং থার্মাল গান ছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পূজামণ্ডপ থেকে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের জন্য সবকিছু। আবার কেউ কেউ আরও বেশ কিছু সচেতনতা বিধিনিষেধ মানছে।
তাদের জন্য খরচ একটু বেশি কারণ পুজো মণ্ডপে দুর্গাপূজা প্রচুর টাকা খরচ কিন্তু এবছর যেহেতু খুব বড় করে পুজো হচ্ছে না সে পুজোর খরচ কমলেও অন্যদিকে খরচ সামলাবে কে? যেভাবে পূজার বিধি নিষেধ দেওয়া হয়েছে সেভাবে মানতে গেলে পুজোর থেকে অনেক বেশি খরচ হবে এই সমস্ত কাজগুলোতে। প্রত্যেক মণ্ডপে সেনিটাইজার ট্যানেল বসাতে হবে এছাড়াও দর্শনার্থীদেরকে বেশ মাস্ক এবং সেনিটাইজার বিতরণ করতে চাই বেশ কিছু পুজ কমিটি। তাছাড়াও থার্মাল গান এবং দূরত্ব বিধি-নিষেধ মানতে গেলে বেড়া জাল তৈরি করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম ভাবে বিধিনিষেধ খরচ অনেক বেশি পরিমাণ। তাছাড়াও সামাজিক দূরত্ব মানতে রক্ষী রাখার প্রয়োজন তার জন্য বেশ কিছু খরচ বাড়বে।
খুব বড় না হলেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ এবং যেভাবে চলা হচ্ছে এভাবে যদি চলে যায় তাহলে পুজো খুব সন্তুষ্ট ভাবে মিটবে। এই পুজোতে যাতে কোনরকম ভাবে সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য সমস্ত রকম বিধি-নিষেধ পালন করতে রাজি প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপ। যদিও থিম বলে কিছু নেই তবে এই বছর যেভাবে করনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত মানুষ সেই রকম বেশ কিছু জিনিসের উপর থিম বানানোর কথা বলেছে বেশ কিছু পুজো কর্তৃপক্ষ। এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা কিভাবে পুজো সম্পূর্ণ হবে তা জানান