
হাজার সংবাদ ডেস্ক: হাতড়াস ধর্ষণকাণ্ডে অবশেষে সিবিআই এর হাতে গিয়েছে তদন্তের ভার। প্রথম থেকে এখনো পর্যন্ত হাতড়াস কাণ্ড নিয়ে আজ যোগী আদিত্যনাথ এর ওপর যতরকম আক্রমণ করেছিল দেশের মানুষ এবং সেখানকার রাজ্য রাজনীতি সবকিছু নিয়েই কথা উঠেছিলো বারবার তখন যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিল যে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেবেন এবং সিবিআই হাতে সেই তদন্তের ভার দেওয়া হয় তার জন্য দাবী করা হবে।
এখন বাকি তদন্ত সিবিআই করবে। এবারের সেরকমভাবেই তদন্ত হবে বলে জানা গেছে। বছর ১৯ এর তরুণীর গণধর্ষণ হয়েছিল এবং সে যেভাবে অত্যাচারিত হয়ে তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল তা আর যাতে না হয় অন্য কোন মেয়ের সাথে তার জন্য সিবিআই তদন্ত করে যথাযথ শাস্তি পাক অভিযুক্তরা। সেইরকমই নির্দেশ শুধু সারাদেশের নয় সেখানকার রাজ্যের মানুষ সবাই চায় মেয়েদের দলিত অত্যাচারিত থেকে মুক্তি পাবার। তারা উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ এর রাজ্য একের পর এক মেয়েদের যে অত্যাচারিত হতে হয় তার জন্য নতুন নিয়ম আসা দরকার। শুধুমাত্র যোগী আদিত্যনাথ এর রাজ্য নয় গোটা দেশের প্রত্যেকটা রাজ্যের যেন আসে যাতে মেয়েরা মাথা উঁচু করে বাইরে রাতে বেরোতে পারে। শুধুমাত্র দিনের বেলা মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য আর রাতে বেরোনো অনেকটা অসুবিধা যেন আর তা না হয়। প্রত্যেকটা মেয়ে যাতে একটা ছেলের মতো মাথা উঁচু করে সব সময় ঘুরে বেড়াতে পারে তার জন্য আইন নিয়ে আসুক কেন্দ্র।
হাতড়াস কাণ্ডের তরুণী গণধর্ষণের তদন্তের বাকি তদন্তের ভার নিচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে সেরকমই পেস শিট জমা দেওয়ার কথা হয়েছে এবং তার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে দায়িত্ব নিয়ে সিবিআই তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হচ্ছে এবং সিবিআই তদন্ত শুরু করছে। বাকি তদন্ত করবে এবং প্রয়োজন যদি হয় তাহলে পুনরাবৃত্তি তদন্তের জন্য এবার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই তদন্তের ভার নিয়েছে। এবার সারা রাজ্যের ভরসা সারাদেশের ভরসা হাতড়াসের গণধর্ষিতার যথাযথ শাস্তি মিলবে। অভিযুক্তদের এবং সিবিআই তদন্তের তার সঠিক ভাবে প্রমান করতে পারবে। তাই সারা দেশ সিবিআই তদন্তের ওপর ভরসা করে রয়েছে।
রাজনৈতিক দলাদলি বন্ধ করে আসুক মেয়েদের জন্য নতুন নিয়ম। রাজনৈতিক দলাদলিতে একের পর এক প্রত্যেকটা ধর্ষিতা মেয়ে নিয়ে কোন সঠিক তদন্ত ধর্ষিতা মেয়েদের জন্য অভিযুক্ত ধর্ষকদের কোনরকম ভাবে শাস্তি হয় না। কিন্তু এবারে সিবিআই হাতে যখন এই কেসের জমা পড়েছে কেন্দ্র থেকে তাহলে তা সঠিকভাবে বিচার করা হোক। রাজনৈতিক দলাদলি প্রত্যেকটা দল নিজেদের নাম কামাতে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য একের পর এক পাশে দাঁড়ানোর নাম করে তাদেরকে ব্যবহার করছে। সেখানটাতে কোন ভাবে শাস্তি মিলছে না অভিযুক্তদের বরং তারা পালিয়ে বেরিয়েছে এবং আরো বড় অন্যায় করার অনেক বড় ক্ষমতা দেখাচ্ছে। তার থেকে অনেক বড় জায়গা এটাই যে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যথাযথ শাস্তি মূলক অভিযুক্তদের। এবার রাজনৈতিক কীর্তি নয় এবার পুরো দেশের চাপে পড়ে যোগী রাজ্যের এবার নতুন আইন চালু হতে পারে কারণ এই সিবিআই তদন্তের বদলাতে পারে মেয়েদের জীবন। কারণ শুধুমাত্র গণধর্ষিতার জন্য নয় সিবিআই তদন্তের পর কেন্দ্র থেকে নতুন রায় মিলতে পারে এবার। শুধুমাত্র অপেক্ষার অভিযুক্তদের শাস্তি তো বটে তবে মেয়েদের জন্য নতুন নিয়ম আসুক নতুন আইন আসুক যাতে মেয়েরা মাথা উঁচু করে বাইরে বেরোতে পারে।