
হাজার সংবাদ ডেস্ক: আইসিসি বোর্ড প্রেসিডেন্টের ৪৭ তম জন্ম দিনে বেশ কিছু কথা শেয়ার করলেন নিজে মুখেই। বেশ কিছুক্ষণ আগে লাইভ বৈঠকে তিন জানান যে এবছরের যা পরিস্থিতি তাতে জন্ম দিন পালন সম্ভব নই র ছোটো থেকে কখনও খুব ধুমধাম করে জন্ম দিন পালন হইনি। কখনও কখনও জন্ম দিনে ম্যাচের জন্য বাস্ত থাকায় বাড়িতে ছিলাম না র এ বছর বাড়িতে থাকলে সামাজিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে জন্ম দিন উৎযাপন জরার মতো কোন চিন্তা নেই। এই সময় জন্ম দিন পালনের থেকে জীবন কে সুরক্ষা রাখা তা অনেক বড়ো। তিনি এও জানিয়েছেন যে নিজে উৎযাপন না করলেও ভক্তদের যে উচ্ছাস সে সন এবছ যেন গল্প কথা। বছর শুরুতে ভাবতেও পারিনি এই রকম। আজ কের দিন তা যেমন কাটানোর কথা তাও পরিস্থিতির জন্য সম্ভব নয়। এখন নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় আর নেই জানিয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলি নিজে।
যদিও বাড়িতে থেকে ছোট করে একটা অনুষ্ঠান হবে জন্মদিন উপলক্ষে তাছাড়াও সারাক্ষণ ভিডিও কল কিংবা অনলাইনে সারাদিনই ব্যস্ত থাকবেন সৌরভ গাঙ্গুলী এছাড়া ভক্তদের শুভকামনা থাকবে সাথে এভাবেই কাটবে আজকের দিন নিজে মুখে জানালেন তিনি সারাদিন বাড়ি থাকলেও হাতে খুব বেশি সময় থাকবে না তার অফিসে না যাওয়ায় বাড়ি বসে কাজ সারতে হচ্ছে তাকে তাই বোর্ডের নিয়ম-কানুন বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাড়ি বসেই জানাতে হচ্ছে এবং বাড়ি বসে সেই কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
এরপর আসেন খেলার কথাই তিনি জানান যে খেলা নিয়ে যথাসম্ভব চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি দেশের তাতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাছাড়া দেশের এই পরিস্থিতিতে আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট একই সঙ্গে জায়গা করা খুব সমস্যার। যতক্ষণ না পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে কিংবা প্রতিষেধক হাতে পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যথেষ্ট কঠিন। তিনি এও বলেন এই পরিস্থিতিতে আপোষ করে খেলা আনন্দ করার মতো পরিস্থিতি কারোরই নেই, নিজেরা বাঁচলে নিজেদের সুরক্ষিত রাখলে তবে বেঁচে থাকবে বাঙালির এই খেলা। আগে নিজের সুরক্ষা তারপর খেলা আইপিএলের খেলার প্রসঙ্গ।
তিনি বলেন আমরা চাই এদেশেই আইপিএল হোক কিন্তু পরিস্থিতির জন্য অন্য দেশের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে আমরা নিজের দেশেই আইপিএল করার উদ্যোগী বেশি। আইপিএল বোর্ড নাহলে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে অনেক, তাই আমরা চাই পরিস্থিতি যথেষ্ঠ স্বাভাবিক হোক। এবং তারপর আইপিএল বোর্ড বসানোর সিদ্ধান্ত হোক। আমরা কেউই চাইনা এত টাকা ক্ষতি হোক দেশের। তার চিন্তায় আনুমানিক চার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে আইপিএল বোর্ড না বসায়।
তবে দেশের সমস্ত পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর অক্টোবর পর্যন্ত লকডাউনে দেশের অবস্থা ভালো হলে তাহলে আইপিএল খেলার আয়োজন করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন যতদিন না করোনা প্রকোপ কমছে কিংবা প্রতিষেধক মিলছে ততদিন পর্যন্ত অনেক নিয়ম অনেক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে আমাদের প্লেয়ারদের জন্য। আলাদা করে থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ প্রতিষেধক বেরিয়ে গেলে সেই সমস্যা খুব একটা হবে না। কিন্তু এখন প্লেয়ারদের জন্য খেলার আয়োজন করলে অনেক সমস্যা আসতে পারে বিশেষ করে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে। যেহেতু এখন থুথু ফেলা বারণ তাই এক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তিনি জানিয়েছেন বেশ কিছুদিন না গেলে প্রতিষেধক না বেরোলে এখনো পর্যন্ত খেলার সিদ্ধান্ত কিছুই নেওয়া যাচ্ছে না। তা নিলেও আতঙ্কের সাথে চলবে সবকিছু।