
হাজার সংবাদ ডেস্ক: টাকা দিয়ে টিভি চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানো হচ্ছে। তা নিয়ে বিভিন্ন রকম ভাবে মানহানি মামলা হয়েছে কিছু চ্যানেলের ডিরেক্টরের নামে। মুম্বাই পুলিশের তরফ থেকে তা নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে যে কিভাবে এই কারচুপি চলছে এই কারচুপির পেছনে রয়েছে তারা টা তদন্ত করা হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন ইন্টারভিউতে এবং আলাদা আলাদা সাক্ষাতকারে কোনভাবে বার্ক সদউত্তর দিতে পারেনি। তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাই কারচুপি একটা চলছে তা নিয়ে নিশ্চিত এবং টিআরপি বাড়ানোর জন্য যে কাজ শুরু হয়েছে তা একেবারেই সহজ নয়। এই কাজের কথা কেউ ভাবতেও পারে না। এতদিন পর্যন্ত কখনো শোনা যায়নি যে এইরকম ভাবে কখনো টিআরপি বাড়ানো যেতে পারে। দুনম্বরী মাধ্যমে কোনদিনই টিআরপি বাড়ানোর যায় টিভি চ্যানেলের। কারণ টিআরপি পুরো ব্যাপারটা নির্দিষ্টভাবে দর্শকদের ওপর নির্ভর করে সেখানে দর্শকদেরকে টাকা খাইয়ে দিয়ে সেই সমস্ত চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মুম্বাই পুলিশ কমিশনার বীরসিংহ এই খবর সামনে নিয়ে আসেন। তিনি জানান রেটিং পয়েন্ট কিনে নিয়ে টিআরপি বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর তার জন্য পুরোপুরি বারক সংস্থা যুক্ত রয়েছে। তা না হলে এর আগেও বিভিন্ন ভাবে উত্তর দিতে পারতো না কোনভাবেই। সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যেত। তাই এর আগে মানুষ কখনো ভাবতে পারিনি এরকম কোন কাজ করতে পারে এর পেছনে থাকতে পারে অনেক চক্রান্ত টিআরপি বাড়ানোর জন্য মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। মানুষকে টাকা খাইয়ে নিজেদের কাজ হাসিল করছে। তা নিয়ে তিনটি টিভি চ্যানেলের নামে এখন ও পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রিপাবলিক টিভি চ্যানেল এবং ফক্ত মারাঠি চ্যানেল এছাড়াও রয়েছে বক্স টিভি চ্যানেল। একের পর এক টাকা দিয়ে টিআরপি কিনছে এবং তার জন্য একটি নাম করা ডিরেক্টরকে সনম পাঠানো হয়েছে মুম্বাই পুলিশের তরফ থেকে।
এই করোনা মর্মান্তিক অবস্থা দেশের অবস্থা যেখানে মহামারির আকার নিয়েছে সেখানে নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য রেটিং স্কেল বাড়ানোর জন্য টিআরপি পেতে প্রত্যেকটা মানুষকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে এবং তার তরফ থেকে লোকজন রাখা হয়েছে যারা প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছে যে সেই টিভি চ্যানেল যেন সারাদিন খুলে রাখা হয়। এইরকম নির্দেশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারের তরফের। এর আগেও তিনি জানিয়েছেন যে একটি প্রায় ২০০০ ব্যারোমিটার মেসিন বসানো রয়েছে যেখানে এই সংস্থার নির্দেশে বেশ কিছু লোক বাড়ি বাড়ি গিয়ে একের পর এক বিভিন্ন রকম ভাবে বুঝিয়ে তাদেরকে সেই চ্যানেলগুলো চালিয়ে রাখার জন্য টাকা দিয়েছে। তাঁর সাক্ষী ও প্রমান মিলেছে। এরকম যে হতে পারে তা মানুষ ভাবতেও পারে না। কারণ এর আগে এত দশকে কখনো টিভি চ্যানেলে এমনটা ঘটে নি এখন টিভি চ্যানেলের টিআরপি পেতেও দুনম্বরী যেখানে। এত দিন পর্যন্ত কোনো কারচুপি ছিল না। কিন্তু এই কারচুপির সামলানোর জন্য পৃথিবী এবং আরো দু’টি চ্যানেলের ডিরেক্টর দেরকে জানানো হয়েছে এবং তার তদন্ত সঠিকভাবে করার জন্য পুলিশ এগিয়েছে।