
হাজার সংবাদ ডেস্ক: হাওড়া থেকে দিল্লি আর দিল্লি থেকে হাওড়া যেতে সময় লাগতো ১৭ ঘণ্টা। সবথেকে দ্রুত গতিতে পৌছাতো রাজধানী এক্সপ্রেস এর থেকে আরও গতি সম্পন্ন ট্রেন আর নেই। সব থেকে বেশি দ্রুত গতিতে কম সময় লাহে এই ট্রেনে কিন্তু এখন আর তা নয় এই অলীক কল্পনা কে বাস্তবায়িত করতে খুব শীঘ্রই হাওড়া থেকে দিল্লি রুটে খুব কম সময়ে যাতে মানুষ যেতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করছে। সেই হিসেবে হাওড়া সমস্ত কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং দেড় কিলোমিটার করে প্রত্যেকদিন সেই লাইনে কাজ চলছে করিডোরে। যদি হাওড়া থেকে বর্ধমান রোড পর্যন্ত প্রত্যেকদিন দেড় কিলোমিটার করে কাজ হবে তাতে সময় হয়তো একটু বেশি লাগবে কিন্তু একদম নিখুঁত কাজ করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সুন্দর ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো ট্রেনের গতি বাড়াতে হচ্ছে সমস্ত ট্রেনের। শুধু তাই নয় আগে আগে 130 কিলোমিটার গতিবেগে চলত ট্রেন এখন সেটা 160 কিলোমিটার গতি বাড়ানো জন্য সেই রকম ভাবে কাজ করা হযচ্ছে। সমস্ত কাগজ কলমে সাংসান হয়েছে আর সেই ব্যবস্থার জন্য এসব কাজ শুরু হয়েছে। এখন ট্রেনের ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে এই সমস্ত পরিকাঠামোর জন্যই স্বয়ংক্রিয় মাধ্যমে সমস্ত কিছু কন্ট্রোল করা যাবে বলে জানিয়েছে রেল বোর্ড। এছাড়াও হাওড়া করিডোরে গতি বাড়ানোর জন্য পরিবর্তন করা হচ্ছে লাইনের করিডোর।
অনেকদিন আগে থেকে শোনা হচ্ছিল এই হাইস্পিড করিডোর তৈরি করা হবে তবে এবার তা বাস্তবে রূপ দিয়েছে হাওড়া স্টেশন। হাওড়া স্টেশনে তার কাজ শুরু হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি চালু হওয়ার কথা ভাবা যাচ্ছে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সেই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা করতে পারবে। হাই স্পিড বাড়ানোর জন্য যেখানে 17 ঘণ্টা দিল্লি পৌঁছাট মানুষ সেখানে আর 17 ঘণ্টা নয় এবার 12 ঘন্টায় পৌছে যাবে দিল্লি পাঁচ ঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়েছে এই হাইস্পিড করিডোরের জন্য। আর তার কাজ খুব দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।
হাওড়া হাইস্পিড করিডোরে যে কাজ করা হচ্ছে সেই কাজে যাতে বৈদ্যুতিক সংযোগ ঠিকঠাক থাকে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এই করিডোরে 160 কিলোমিটার গতিবেগ বাড়ালে যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ সংযোগ দরকার তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। এছাড়াও সেখানে বর্ধমান থেকে হাওড়া রোড রয়েছে এই রুটের কাজ একদিনে হবে না ভেঙে ভেঙে ছোট ছোট করে কাজ করা হচ্ছে যাতে ওভারহেডেরর কাজ একেবারে সম্পূর্ণভাবে করা যায় কোন কাজ বাকি রাখা হচ্ছে না। অল্প অল্প জায়গাতে পুরো কমপ্লিট কাজ করে এগোচ্ছে সমস্ত কর্মীরা সেইরকমই জানা গেছে।
করোণা পরিস্থিতিতে লকডাউন থাকায় বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। ট্রেন চলাচল বন্ধ একেবারে আর সেই ট্রেন চলাচল বন্ধ লাইন ফাঁকা সমস্ত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাওড়া থেকে দিল্লি পৌঁছানোর করিডোর এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। হাইস্পিড করিডরের কাজ খুব ভালোভাবে শুরু হয়েছে এই অত্যাধুনিক মাত্রায় যাতে কাজ করা যায় এবং সেই কাজ যথেষ্ট ভালো ভাবে কার্যকরী হওয়ার জন্য ফাঁকা অবস্থাতেই আর অপেক্ষা নয়। সেই অবস্থাতেই চালু হয়েছে হাইস্পিড করিডোর এর কাজ। আগামী বছর তিনেকের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি হাইস্পিড পরিষেবার মাধ্যমে মাত্র 12 ঘন্টায় পৌছে যাবে দিল্লিতে রাজধানীতে।