
হাজার সংবাদ ডেস্ক: করোনা সংক্রমনের ভয় লোকাল ট্রেন চালায় আপত্তি জানায় নবান্ন। নবান্ন কর্তারা জানিয়েছে যে পুজোর আগে কোনভাবেই লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। তাতে করোণা সংক্রমণ অনেক বেশি বাড়বে আর এদিকে পূর্ব রেলের তরফ থেকেও কোনো রকম বার্তা পাওয়া যায়নি। পূর্ব রেলের তরফ থেকেও অনুমতির বার্তা আসেনি। তার জন্যই লোকাল ট্রেন চলা সম্ভব নয় পুজোর আগে। যদিও লোকাল ট্রেন চালানো হয় তা পুজোর পরে ভাবা যাবে তার কারণ করোণা সংক্রমণ পুজোতে কতটা বাড়ে তা দেখার তারপরে সেই বুঝেই লোকাল ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা জন্য প্রতিবাদ জানাতে পারে রাজ্য। তার আগে নয় নবান্ন কর্তারা এরকমই জানিয়েছে।
পূর্ব রেলের তরফ থেকে সেভাবে কোনো অনুমতি আসেনি রাজ্যে। তবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন জায়গায় মানুষের বিক্ষোভ সাধারণ মানুষ চাইছে যে ট্রেন চলুক আর ট্রেন না চললে আর কতদিন মানুষ এভাবে বসে থাকবে বাড়িতে। নিজেদের পুঁজি সবটাই তো শেষ হয়েছে। কোনভাবেই তারা সংসার চালাতে পারছে না। বিশেষ করে যারা ডেলি লেবার ছিল তাদের তো অনেক বড় সমস্যা হয়েছে আর এই পুজোর সময় কোন ভাবেই কেউ বাড়িতে বসে থাকতে রাজি নয়। সবাই চায় কাজের মধ্যে নিযুক্ত হতে। কিন্তু এদিকে ট্রেন চলছে না বাসের ভাড়া দিতে গিয়ে তাদের যেটুকু মাইনে পাই সেটুকু শেষ হচ্ছে। তাহলে ট্রেন না চললে কিভাবে যাতায়াত করবে তারা বিভিন্ন জায়গায় রেলস্টেশনে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। এবং রেলকর্মীরা যারা যাতায়াত করে ট্রেনে অর্থাৎ যে কয়েকটি ট্রেন চলছে রেল কর্মীদের জন্য সেই ট্রেনের মধ্যে সাধারণ মানুষের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না এবং সেই নিয়ে হাওড়া একটা মিছিল বেরিয়েছিল বেশকিছু পরিচারিকাদের মিছিল। পরিচারিকারা জানাচ্ছে তারা ট্রেনে উঠতে সহায়তা করছে না বরং ট্রেনে আটকায় এবং তাদের একটাই অনুরোধ ছিল যে তারা বাসে যাতায়াত করলে অনেক বেশী খরচ এবং ট্রেনে যদি এভাবে আটকানো হয় তারা যাতায়াত করবে কিভাবে? বাড়িতে নিজেদের সন্তান এবং বয়স্ক বাবা-মা রয়েছে তাদের জন্য করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ভিড় বাসে কিভাবে যাওয়া সম্ভব তারা এতটাই বেশি যেখানে মাসের শেষে ইনকামের থেকে খরচ অনেক বেশী হচ্ছে। তাই তারা ট্রেন পরিষেবা নিতে গেলে প্রুফ দিতে হয় কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র রেল কর্মীদের কোন আইডেন্টিটি প্রুফ নেই বলে তাদেরকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।
যদিও পূর্ব রেলের তরফ থেকেও কোনো নির্দেশ আসেনি কারণ রেল কর্তারাও এই মুহূর্তে ট্রেন চালাতে নারাজ আর তার সাথে যদি দুর্গাপূজা হয় তাতে করোণা সংক্রমণ অনেক বেশি বাড়বে। আর তার জন্যই আগে থেকেই রেল চালানোর কথা জানানো হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষরা সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তার সাথে রাজ্যের তরফ থেকে নবান্ন কত এবং নবান্ন আধিকারিকরা জানিয়েছে যে পুজোর আগে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। রাজ্যে তাহলে করোনা সংক্রমণ বাড়বে। পুজোর মধ্যে করণা সংক্রমণ যদি বারে তাহলে চলবে না আর যদি করোনা সংক্রমণ না বারে তাহলে পুজোর পরে চলবে ট্রেন। সেরকমই জানিয়েছে তারা এবং তারা এটাও জানিয়েছে যে পূর্ব রেলের তরফ থেকে এখনও তাদের কাছে কোন নোটিফিকেশন আসেনি। যদি আসতো তাহলে তারা ট্রেন চালানো নিয়ে আরো একবার ভাবনা চিন্তা করত। আর রাজ্যের তরফ থেকে বিভিন্ন জেলায় যেভাবে টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে প্লাটফর্ম ভাঙচুর হচ্ছে এবং জনস্বার্থে মিছিল চলছে এবং তারা যেভাবে দাবি জানাচ্ছে ট্রেন চালানোর তাতে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি রেল পরিষেবা আবার চালু হতে পারে জনসাধারণের জন্য।