
হাজার সংবাদ ডেস্ক: আম্ফান সামলে উঠতে না উঠতেই নদী উপকূলবর্তী অঞ্চলে গুলিতে আবার বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। একেতো নিম্নচাপ তার ওপর ভরা কোটাল সেই পরিস্থিতি সামলে ওঠা খুব বিপদজনক। এখনকার পরিস্থিতি হয়েছে নদী উপকূলবর্তী অঞ্চলে গুলিতে সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে বহু মানুষ এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলের প্রতিবেশীরা। যদিও সেই এলাকা থেকে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে সেখান থেকে বিপদগ্রস্ত মানুষকে সরানো হলেও সেখানকার ঘরবাড়ি এখন জলের তলায়।
নিম্নচাপের ফলে মৌসুম দ্বীপের অবস্থা গুরুতর সেখানকার ঘরবাড়ি জলের তলায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ঘরের মধ্যে থেকে পাম্প দিয়ে জল বের করতে হয়েছিল কিন্তু সেই অবস্থার আরো অবনতি ঘটেছে। শুক্রবার লকডাউনে ডিউটিতে রয়েছে সবাই। কিন্তু তার মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের রেহাই নেই উদ্ধার করেছে পুলিশ প্রশাসন কিন্তু সেখানকার অবস্থা এতটাই খারাপ এখনো নদীর বাঁধ ভেঙে যায় 100 মিটার উপর জলচ্ছাস উঠেছে।
মানুষকে হয়রানি করেছে প্রকৃতি। এর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্ফান যাতে মানুষ এখনও সামলে উঠতে পারেনি তার ওপরে আবার নিম্নচাপ সহ ভরা কোটাল ভেসে যাওয়া মানুষের আর্তনাদ কিভাবে সামাল দেবে মানুষ? যদিও তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ প্রশাসন দিয়ে এবং সেখানকার প্রশাসন থেকে কার্যকরী ভুমিকা নিয়েছে অনেকেরই নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে এবং তাদের খাবার বিতরণ করা হচ্ছে তাদের যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কতটা সামাল দেবে ভিটেমাটি ছাড়া মানুষের কারণ নদীর জল বহুদূর পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে তাতে অনেক বসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে ঢুকে গেছে নদীর জল যেখানে কোনভাবে সামাল দেয়া যাচ্ছে না।
এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকা। এছাড়াও কাকদ্বীপ নামখানা এই রকম কয়েকটি জায়গায় প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো পর্যন্ত তাদেরকে উদ্ধার করা হচ্ছে সাথে নিম্নচাপ তার সাথে ভরা কোটাল নদীর জলের স্রোত এতটাই বেড়েছে তাতে সামাল দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। নদীর জলের ঢেউ উঠেছে অনেক উপর পর্যন্তও কিছু কিছু জায়গায় আবার সেই জলের ঢেউয়ে ভেঙে গেছে বহু বাড়ি। যদিও নিম্নচাপের সাথে ভরা কটাল এর আশঙ্কা করেনি প্রশাসন কিন্তু একসাথে দুটো ঘটায় তাতে নাজেহাল হয়ে উঠেছে বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন।
সবথেকে গুরুতর মৌসুম দ্বীপে যেখানে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে এবং নদীর জলের স্রোত কোন ভাবেই কমছে না বরং জনবসতির দিকে আরো দিয়ে আসছে। নদীর জলের স্রোত যতক্ষন না কমছে ততক্ষণ এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যথেষ্ট কঠিন কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলানো দায় মানুষের এখনো তৈরি হয়নি। তাই পুলিশ প্রশাসন এবং সেখানকার প্রশাসনের হাত দিয়ে যতটা সম্ভব কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ার সেভাবেই করা হচ্ছে সব কাজকর্ম। আমফানের যে ক্ষতি হয়েছিল তার থেকে দ্বিগুন ক্ষতি হয়েছে এই নিম্নচাপ সহ ভরা কটাল। যদিও একটু সামলে ওঠার পর কিন্তু এখন যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে সামলে ওঠা যথেষ্ট কঠিন।