
হাজার সংবাদ ডেস্ক: সুশান্ত সিং এর মৃত্যু রহস্য নিয়ে নতুন চাঞ্চল্য মোড় সামনে এলো। সিবিআই তদন্তের হাতে যাবার পর এই কেসের। পাটনা পুলিশের তরফ থেকে দাবি এল মুম্বাই পুলিশের কাছে বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর নামে এফআইআর দায়ের করেছে অভিনেতার বাবা। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও রিয়া চক্রবর্তী প্ররোচনায় ছেলেকে হারাতে হয়েছে বলে দাবি করেছে সুশান্ত সিং এর বাবা।
বহুদিন ধরে মুম্বাই পুলিশের হাতে এইচএস থাকার পরেও বারবার বলা হয়েছিল তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেছে তবে এবার পাটনা পুলিশের কাছে সুশান্ত সিং এর বাবার দাবিতাকে বাধ্য করা হয়েছে এই আত্মহত্যা করার জন্য কারণ 2019 সাল থেকে দুই হাজার কুড়ি সালের বেশ কিছু সময় মিল পাওয়া যাচ্ছে না তাই তিনি সাত দফায় দাবিতে রিয়া চক্রবর্তীর নামে এফআইআর দায়ের করেছে পাটনা থানায়।
তার দাবি অনুযায়ী তিনি জানিয়েছেন 2019 সালে সুশান্ত সিং এর কোন মানসিক অবসাদ ছিল না অর্থাৎ এইরকম কোন রোগে ভুগছিলেন না অথচ রিয়া চক্রবর্তীর সাথে সম্পর্ক হবার পর হঠাৎ করে কি এমন হলো যাতে তার অবসাদের মধ্যে চলে যেতে হয় তা খতিয়ে দেখে পুলিশ। দ্বিতীয় দিনে বলেছেন যে সমস্ত ডাক্তাররা ট্রিটমেন্ট করছিল তার সবাই রিয়া চক্রবর্তীর ষড়যন্ত্রের শিকার সমস্ত ডাক্তাররাই রিয়া চক্রবর্তী লোক তাই কি ওষুধ চলেছে এবং কি ওষুধ খেতে সুশান্ত আমরা কেউই জানিনা তা খতিয়ে দেখা হোক। তৃতীয়তঃ তিনি জানিয়েছেন সুসান সিং এরঅসুস্থতার কথা জানার পরেও তিনি অবসাদে আছেন এর মেডিসিন চলছে জেনেও কেন সুশান্ত সিং কে ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকে যদি কাউকে ভালোবাসা যায় তাহলে তাকে ছেড়ে এই অবসাদের মধ্যে তাকে রেখে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয় তার কারণ ভালোভাবে তদন্ত করুক পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর তদন্তের ভার নিল CBI, অমিত শাহের নির্দেশে
তাছাড়াও তিনি জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী যখন আমার ছেলের কাছ থেকে চলে গেল তখন তাহলে কেন আমার ছেলের ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন এবং চিকিৎসা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে চলে গেল কেন তার কোন প্রমাণ রেখে গেল না কি ওষুধ এবং কি কি খেত সে? তার চলে যাওয়ার সাথে ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন নিয়ে যাওয়ার কি সূত্র রয়েছে? পঞ্চমত তিনি জানিয়েছেন যে এক বছরে মহেন্দ্র ব্যাংক থেকে 15 কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে যে একাউন্টে জমা ছিল 17 কোটি টাকা এবং এই টাকা তোলা নিয়ে সুসান সিং এর কোন যোগসূত্র নেই তাহলে কিভাবে এই 15 কোটি টাকা তোলা হল ব্যাংক থেকে তা যাচাই করা হোক এবং রিয়া চক্রবর্তীর ফ্যামিলি সহ প্রত্যেকের অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখা হোক কত টাকা তাদের একাউন্টে এক বছরে ঢুকেছে?
সুশান্ত তার এক বন্ধুর সাথে ঘুরবে অর্গানিক ফার্মিং করবেন বলে ঠিক করেছিলেন এবং তার জন্য তিনি অগ্রসর ভূমিকা নিয়েছিলেন সেখানেও রিয়া চক্রবর্তী বিরোধিতা করেন এবং তিনি তার তাকে জানান এবং যদি সেই কথা না রাখে তাহলে মিডিয়ার সামনে তার অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ার কথা জানিয়ে দেবেন,এবং রীতিমত সুসান সেই কথা না রাখায় রিয়া চক্রবর্তী তার ফ্ল্যাট থেকে ল্যাপটপ গয়না এবং ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন সহ সবকিছু নিয়ে চলে যায় এই সমস্ত ঘটনার সঠিক বিচার করুক মুম্বাই পুলিশ সহ পাটনা পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ আলিয়া ও শাহিন ভাট্টকে ধর্ষণের হুমকি!
তাছাড়াও সুশান্তের বাবা জানাই আমার ছেলের কোন কাজের অসুবিধা ছিল না। তাই হঠাৎ করে এমন কি হলো যে যার হাতে কাজ ছিল না বলে সে অবসাদে চলে এলো। আর তার জন্নই এই মৃত্যু। কিন্তু আমি জানি যে কাজের জন্য তার অবসাদ আসেনি কারণ আমার ছেলের কাজের জন্য কখনোই অসুবিধা বা অভাব হয়নি। তাই একটা বছর এমনকি হয়েছে যেখানে সুশান্ত সিং এর কোনো কাজ ছিল না। রিয়া চক্রবর্তীর সাথে সম্পর্কে জড়িত হওয়ার পর কেন তার হাতে কোনো কাজ আসতো না তা নিয়ে তদন্ত করা হোক।
সুসান সিংয়ের বাবাকে কেশিং শুধুমাত্র আত্মহত্যায় প্ররোচনা করার জন্য রিয়া চক্রবর্তীর নামে মামলা দায়ের করেনি তাছাড়াও তিনি জানিয়েছেন তার ফ্ল্যাট থেকে ল্যাপটপ গয়না এবং ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন অর্থাৎ প্রমাণ লোপাট করা নিয়েও তার নামে মামলা দায়ের করেছে তাছাড়া বিহার পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে রিয়া চক্রবর্তী শুধু নয় তার বাড়ির সমস্ত ফ্যামিলি মেম্বার অর্থাৎ তার বাবা-মা ভাইয়ের নামেও রয়েছে এই মামলা যে মামলা দায়ের করেছে সুশান্তের বাবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরির দায়ে রিয়া চক্রবর্তী কে দায়ী করেছে কে কে সিং। এবার মৃত্যুরহস্যের মোর অন্য দিকে ঘুরল বিহার পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী পাটনা পুলিশ থেকে চারজন পুলিশ পাঠানো হয়েছে মুম্বাই থানায় এবং সেখানে যথাযথ তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জি ফাইভে ফিরে আসছে পবিত্র রিস্তা সিরিয়ালটি!