
হাজার সংবাদ ডেস্ক: করোনা প্রবাহে অন্য রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের পেটের ভাত যোগাতে দিশারা হতে হচ্ছে। এবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নতুন কাজের জন্য তাদের আর চিন্তা নেই। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল ইন্ডিয়া আরো একধাপ এগিয়ে যেতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ২০ জুন এই গরিব কল্যাণ যোজনার সূচনা হয়।
করোনার প্রকপে সমস্ত অফিস আদালত এবং সমস্ত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং থেকে শুরু করে অনলাইন পরিষেবা সবকিছুই চলছে বাড়িতে বসেই। তাই এখন উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য ফাইবার অপটিক্যাল কেবেল বসানোর কাজ অনেক বেড়ে গেছে। এই কেবেল বসানোর কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদেরকে লাগানো হচ্ছে। মাটির তলায় বসান হচ্ছে ফাইবার অপটিক কেবেল। পরিযায়ী শ্রমিক যারা অন্য রাজ্য থেকে ফিরে এসেছে সেই সমস্ত পরিবারের কর্তারা যাতে কাজের অসুবিধে না হয় তার জন্যই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের কাজে লাগানো হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। এছাড়াও যদি তারা ঘর বাড়ি তৈরীর কাজ না পায় তারাও যুক্ত হতে পারে এই কাজে।
তিন থেকে চার সপ্তাহ আগে ঘোষণা করা এই গরীব করলেন যোজনা। তাঁর মধ্যে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই খাতে। তার মধ্যে এখনো পর্যন্ত বহু মানুষের কাজেরও সুযোগ হয়েছে। এই প্রকল্পে সরকারের নির্দেশ মতো ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে ১২৫ দিনের জন্য। তার জন্য এক ধাপ এগিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। সরকারের এই রকম বেশকিছু জনকল্যাণের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছে তার মধ্যে এখনো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মানুষ তাদের ১০০ দিনের কাজ সেরে ফেলেছে। এবং যারা কাজ করছে না বা যারা কাজ পায়নি তাদের জন্য কাজের সুযোগ রয়েছে। এখনো পর্যন্ত আরো অনেক প্রকল্প নিয়ে আসছে ভারত সরকার যেমন উর্যা গঙ্গা বা বাড়ি জল পরিষেবা দেওয়ার জন্য পাইপ লাইন ব্যবস্থা। যদিও এই সব প্রকল্পে এখনও কোন কর্মসংস্থান হয়নি। তবে শুরু হলে বহু মানুষ সেখানে কাজ করতে পারবে বলে আশ্বাস। তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকটাই চিন্তার কমেছে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে।