
হাজার সংবাদ ডেস্ক: এবার প্রাথমিক স্কুল গুলোতে মিড ডে মিল এর সাথে আরও পুষ্টিকর খাবার বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছে বহু শিক্ষক। করোনার জন্য বহুদিন ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ, সেই সূত্রে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছিল মিড ডে মিলে কাঁচা দ্রব্য। চাল এবং আলু কিন্তু গত মাস থেকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের চাল ডালের সাথে আলু এবং স্যানিটাইজার তুলে দেয়া হচ্ছে অভিভাবকদের হাতে।
তবে এবার একাংশ শিক্ষক শিক্ষকার আবেদন যে ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবার আরও বাড়ানোর জন্য। এই সমস্ত জিনিসের সাথে বাড়ানো হোক আরও বেশ কিছু পুস্তিকর খাদ্য। ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টির দরকার। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী বার বার বলা হয়েছে যে এই করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেরই শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বেশি রাখার জন্য। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তাদের পুষ্টি ঠিকঠাক থাকে না কারন অনেকে আসে গরীব পরিবার থেকে। সমস্ত গরিব পরিবারের কথা মাথায় রেখে এই নির্দেশ জারী করতে বলেছে শিক্ষকরা।
আরও পড়ুনঃ অনলাইন ভর্তির নির্দেশ বেসরকারি স্কুল গুলোতে
ছাত্রছাত্রীদের যে পরিমাণে খাদ্য দেওয়া হয় তাতে ডালের পরিমান ২৫০ গ্রাম তাতে কতটুকু পুষ্টি পাছে তারা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বহু শিক্ষক। সেই জন্য সয়াবিনের প্যাকেট এবং ডিম দেবার জন্য আবেদন জানিয়েছে সরকারের কাছে। স্কুল বন্ধ থাকায় বহুদিন মিড ডে মিলের খরচ কমে গিয়েছে। অন্যান্য খরচ কমেছে স্কুলগুলোর। তাই যে খরচ বাঁচছে সেই খরচ থেকে পুষ্টিকর খাবার বাড়ানোর দাবি করেছে শিক্ষক মহল।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ যে টাকা সেই টাকার পুরোপুরি খরচ হচ্ছে না মিড ডে মিলের সামান্য চাল ডালে এবং স্যানিটাইজারে। তাই এবার থেকে ডিম এবং সয়াবিনের প্যাকেট যদি ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হয় তাহলে তারা নিজেদের পুষ্টি একটু হলেও বাড়বে। ফলে এমিউনিটি বাড়াতে সক্ষম হবে অনেক দরিদ্র পরিবার। অনেক পরিবার আছে যারা সারাদিনে ঠিকমতো খেতেও পায় না। আর এই লকডাউনের সময় পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা। তাই তাদের জন্য এই নতুন আবেদন নিয়মের আর্জি সরকারের কাছে।