
হাজার সংবাদ ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ভাবে লকডাউন করা হচ্ছে কোথাও কনটেইনমেন্ট আবার কোথাও বাফার জোনে। আবার কোথাও কোথাও পুরো জায়গা জুড়ে হচ্ছে লকডাউন। তবে খুব একটা কার্যকরী হচ্ছে না বলেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে করোনা। কোনোভাবেই সামলানো যাচ্ছে না করোনা কে। বেশ কয়েকদিন আগের ঘোষণা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে সপ্তাহখানেক ধরে থাকবে কনটেইনমেন্ট এবং বাফার জোন গুলোতে লকডাউন কিন্তু তারপর নিয়ম পরিবর্তন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন প্রত্যেক সপ্তাহে দুদিন করে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে গোটা রাজ্যে।
কেন্দ্রের সাথে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে সংক্রমণ আটকাতে গেলে সম্পূর্ণ লকডাউন করতে হবে। সপ্তাহে দুদিন করে সেই নিয়ম মেনে চলা শুরু হয়েছে। তার নজরদারি রাখতে কলকাতায় ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিল এর কার্যকারিতা প্রভাব ফেলবে তবে সম্পূর্ণভাবে কেউ মেনে চলছে হচ্ছে কিনা জানার জন্য প্রশাসন থেকে ড্রোনের মাধ্যমে দেখা হচ্ছে কলকাতাকে। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা হচ্ছে সেখানে কড়া লকডাউন হচ্ছে কিনা।
এছাড়াও রাস্তায় গাড়ি বের হলে সেখানেও জবাবদিহি করতে হচ্ছে। যদিও এবার অনেক ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে আগের থেকে। অনেক্মটা কমেছে রাস্তায় অকারণে গাড়ি বের করা কিংবা অকারণে বাইরে বের হওয়া। এইরকম ভাবে চললে তাহলে সামান্যতম এই মহামারী সংক্রমণ আটকানো যেতে পারে। তবে তা কতটা কার্যকরী হবে তা নির্ভর করবে জনসাধারণের ওপর। তার জন্যই পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে চালানো হচ্ছে কড়া লকডাউন। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় এবং পুলিশ প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে। এছাড়াও এই ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে যে সমস্ত এলাকার লোকজন দেখা যাচ্ছে সেই সমস্ত এলাকায় পুলিশ প্রশাসন গিয়ে তাদেরকে বোঝাচ্ছে কিংবা বাধা দিচ্ছে। এইভাবে প্রথম থেকে শুরু করলেও সংক্পারমণ ছড়াতে না। কিন্তু যদিও এখন যেভাবে চলছে এভাবে যদি সপ্তাহে দুদিন সম্পূর্ণ করা যায় তাহলে গোষ্ঠী সংক্রমণ টাকে ভাঙ্গা যেতে পারে বলে দাবি করেছে সবাই। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন অকারনে বাইরে বেরোনো যাবে না, যদি বাইরে বেরোনো হয় তাহলে আইনত কোন ব্যবস্থ নেওয়া হবে। এভাবেই চলছে কলকাতা পুরসভা।