
হাজার সংবাদ ডেস্ক: করোনা প্রকোপে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কর্মীছুৎ করতে হয়েছে বহু কর্মসংস্থানে কিন্তু এবার রেল দপ্তর থেকে আটকাতে না পারায় দ্বন্দ্বে পড়েছে রেলকর্মীরা। হাজার রকম বিধিনিষেধ মেনে কোনভাবেই করনা সংক্রমণ উঠতে পারছেনা রেল দপ্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়ে চলেছে এবং সেই আক্রান্তদের থেকে সেই সমস্ত ডিপার্টমেন্টের প্রত্যেকটা কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার থেকে যাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রত্যেকদিন 16 থেকে 17 জন আক্রান্ত হচ্ছে কোথাও কোথাও আবার 8 থেকে 9 জন কিন্তু এইরকম ভাবে আক্রান্ত হতে থাকলে রেল কর্তৃপক্ষ আবেদন তাতে রেল পরিষেবা চালানো সম্ভব নয়।পূর্ব রেলের দাবি প্রত্যেকদিন সমস্ত নিয়মকানুন মেনে ও কোনভাবেই করো না রোখা যাচ্ছেনা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস থার্মাল চেকিং সবকিছুর পরেও কোন ভাবেই আটকানো যাচ্ছেনা এই মহামারী সংক্রমণকে। তাই তাদের দাবি কোন কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে কারণ বেশ কিছুদিন আগে থেকে 50% কর্মী নিয়ে চলছিল রেল ডিপার্টমেন্ট কিন্তু এবার এই 50 শতাংশ কর্মীর অল্টারনেটিভ ভাবে কাজ করে চলছিল কিন্তু এবার আর তা সম্ভব নয়।
বন্ধ করতে হবে হয়তো পুরো রেল দপ্তর।নিজেদের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে এই ভাবে সম্ভব নয় প্রত্যেকদিন যদি প্রতিনিয়ত এইভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকে সেখানে কাজ করা অসম্ভব জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ রা। যখনই যে ওয়ার্ডে একজন আক্রান্ত হয়েছে বা ধরা পড়েছে সাথেসাথেই সেই ওয়ার্ড সেন্টেন্স করা হয়েছে প্রায় দিনই সেন্ড করা হয় রেল দপ্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সূত্রের খবর অনুযায়ী তারা জানিয়েছে যখনই কেউ সংক্রামিত হয়েছে সাথে সাথে বন্ধ করার নির্দেশ করা হয়েছে সেই ওয়ার্ড গুলোকে। ওয়ার্কশপে যে সমস্ত কর্মীরা কাজ করে তাদের পক্ষে কোনভাবেই ছ-ফুট দূরত্ব রাখা সম্ভব নয়। সেখানে কোনো সংক্রমণ আটকানো অসম্ভব। তবে যারা অফিসে বসে কাজ করে তাদের জন্য বা যারা ওয়ার্ডে বসে কাজ করে তাদের জন্য করনা সংক্রমনের সমস্ত বিধিনিষেধ থাকলেও কিভাবে ছড়াচ্ছে কর্ণ সংক্রমণ তা জানার বজ্যারা।
তাদের মধ্যে অনেকের দাবি কেউ বাড়ি থেকে আসার পথে রাস্তায় থেকেই সংক্রমণ নিয়ে আসছে অথবা কোন অফিসকর্মী রয়েছে যা ধরা পড়ছে না সেখান থেকেই সংক্রমণ প্রতিনিয়ত প্রত্যেকদিন যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তার জন্য কতদিন চলবে তা অজানা প্রত্যেকদিন সংক্রমণ হওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রতিনিয়ত চেঞ্জ করার ব্যবস্থাও রয়েছে রেল দপ্তরগুলোতে কিন্তু তাতেও কিছু হচ্ছে না কারণ এমন কিছু মানুষ যারা বাইরে থেকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আসছে কিংবা তার সে তার বাসস্থানের এলাকায় এমন কেউ আছে যাদের কোনো সংক্রমণ সেখান থেকেই আসছে এখানে তবে যাদের সংক্রমণ হচ্ছে তাদেরকে একেবারে অপসারণ এবং সাথে তারা ছুটিও নিচ্ছে তবে এরকম ভাবে চলতে থাকলে হয়তো রেলের সমস্ত কাজ আবারো বন্ধ হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে তারা।