
হাজার সংবাদ ডেস্ক: পুজোতে কোন ছুটি পাচ্ছেন আর ডাক্তাররা। কারণ অনেক বেশি পরিষেবা দিতে হবে তাদেরকে এবার পুজাতে। সেরকমই আশঙ্কা করছে অনেকে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে গেলে নোএন্ট্রি বোর্ড ঝলাতে হচ্ছে পুজো কমিটিকে। কিন্তু তাতেও মানুষের বিরূপ দেখা যাচ্ছেনা। প্রত্যেক পুজা মণ্ডপে মানুষের ভিড় একের পর এক বাড়ছে। প্রত্যেক পূজামণ্ডপে আর তার জেরেই সবাই আশঙ্কা পুজোর পর আবারও করোনার দ্বিতীয় থাবা পড়তে পারে বাংলায়। বাড়তে পারে অত্যধিক সংক্রমণ আর সেখানে সেই চিন্তা করেই কোন ডাক্তাররা এই পুজোতে ছুটি মঞ্জুর পায়নি বরং তাদের অন ডিউটি রয়েছে তারা। সেই অনুভূতি কাজ করবে এবং নবান্নের কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে পুজোর সময়কাল।
পুজোর সময় কালের কথা ভেবে পড়েছে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তার আন্দাজ করে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে তারপরে ঠিক করা হয়েছে আরো অনেক পরিষেবা বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে আইসিইউ বাড়াতে হবে কন্ট্রোলরুম বাড়াতে হবে আইসোলেশন সেন্টার। তারপরেই সম্ভব করণা সংক্রমণে কোনভাবেই সম্ভব কিনা টা জানা নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে যথাযথ পরিষেবা না থাকার জন্য মানুষের অনেক বেশি বিপদে পড়ছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তাররা জানিয়েছে এর আগে অনেক সময় দেখা গিয়েছে 30 থেকে 35 ঘন্টা ওয়েট করতে হয়েছে অনেককে সিসিইউ রুমে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই মুহূর্তে আমাদের কাছে যথার্থ রুম ছিল না তার জন্যই সেখানেই মৃত্যু হয়েছিল অনেক কভিড রোগীদের। এই পরিস্থিতি যদি না স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিষেবা বাড়ানো না যায় তাহলে অনেক বেশি বিপদ আসতে পারে আর তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন পুজোর মধ্যে আরো একমাস সময় নিয়ে বাড়বে সমস্ত কন্ট্রোল রুম এবং বেডের সংখ্যা।
পুজোর পর সংক্রমণ হার নিয়ে সংশয়। পুজো সংক্রমণ বাড়বে তা নিশ্চিত সবাই এবং যেহেতু কোনো সংক্রমণ এর আগে বেড়েছিল তারপরে এখন অনেকটাই নেমেছে হঠাৎ করে পুজোর পরে আরও বাড়তে পারে তার জন্য তড়িঘড়ি করে এই সিদ্ধান্ত আগে থেকে অনেক চিন্তা-ভাবনা নিচ্ছে যাতে করোনা সামাল দেওয়া যায় তারা চিকিৎসা পায়। তার জন্য ব্যবস্থা করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তাও নিশ্চিত করে পুজো হচ্ছে।
কিন্তু ওনাম অনুষ্ঠানে কেরালার কথা শুনলে তা নিশ্চিত যে পশ্চিমবঙ্গে ও সেইদিন আসতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে কেউ দুর্গাপুজোর করায় তার হিসাব চোকাতে হবে কারণ করণা সংক্রমণ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। আর এই রকম পরিস্থিতিতে কোনভাবেই সম্ভব নয় তাই আগে থেকে অনেক চিন্তা ভাবনা নেওয়া হচ্ছে। ১৩৩৯ টি বেড আরো বাড়ানোর কথা বলেছে রাজ্যে। এছাড়া অন্য সমস্ত সরকারি জায়গা খোলা থাকবে পুজার মধ্যে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে সরকারি জায়গায় সমস্ত চিকিৎসা বিনামূল্যে এবং সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য। এখন থেকে কাজকর্ম শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় পরিষেবা বেড়েছে। পুজোর পর পরিষেবা সামাল দেওয়ার জন্য সরকারের এই কার্য কতটা কার্যকরী হবে তা এখনো দেখার বিষয়। তার কারণ এখনও পর্যন্ত যদি পরিষেবার ঠিকঠাক ভাবে তৈরি না হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে পরিষেবা দেবে। পুজোর পর শুধু নয় পুজো থেকেই শুরু হয়ে গেছে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার তাহলে পুজো শেষ হলে সেখানে কতটা পরিমাণ পরিষেবা পাওয়া গেলে। তবেই মানুষের সুবিধা হবে সেটা বোঝা খুব মুশকিল আর তার পরিষেবা আদৌ রাজ্য দিতে পারবে কিনা সেটাও চিন্তার বিষয়।