
হাজার সংবাদ ডেস্ক: দুবাই বিমানবন্দর ভেঙে পড়ল ইন্ডিয়ান বিমান। রাত তখন প্রায় সাড়ে আটটা ঠিক সেই সময় একটা বিকট শব্দে ভেঙে পড়ল একটি বিমান রানওয়ে থেকে স্লিপ করে এই বিমান খাদে পড়ে যায়। দু টুকরো হয়ে যায়। সাধারণ ধারণায় যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। অত্যধিক বৃষ্টিতে রানওয়ে থেকে স্লিপ করে গেছিলো বিমানের চাকা তাই রানওয়ে থেকে নামার সময় হঠাৎই নেমে যায় খাদের দিকে এবং সেখানে ধাক্কা খেয়ে বিমান দুটো টুকরো হয়ে যায়।
এই করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশে আটকে পড়া মানুষদের কে দেশে ফেরানোর উদ্দেশ্যে এই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এই বিমানটি হঠাৎ করে 36 ফুট দূরত্ব থেকে থেকে খাদে পড়ে যায়। এইরকম মালভূমি এলাকা বিমান ল্যান্ড করানো একটা ঝুকি থেকে যায়। এর জন্য এটা ঘটেছে, সাধারণত মালভূমি এলাকার উপরেই হয় বিমান বন্দর গুলো। তার জন্য বিপদের আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি, ঠিক সেভাবে এই বিমানটি হঠাৎ করে রানওয়ে থেকে নিচে পড়ে যায়, মাটি থেকে বেশ খানিকটা দূরেই হঠাৎ করে দু টুকরো হয়ে যায়।
যদিও বিমানবন্দরে এই বিপদ ঘটায় তাড়াহুড়ো করে দমকল কর্মী এবং উদ্ধার কর্মীরা কাজ লেগেছে। সাথে সাথে 18 জন মৃত এই ঘটনায়। ওই বিমানের ছিল 174 জন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী এবং 10 জন শিশু ও 4 জন পাইলট কর্মী সহ দুজন পাইলট। বাকি সবাইকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে এবং সেখান থেকে আরো বেশ কিছু মানুষ বাঁচানো সম্ভব নয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা কারণ অনেকেই খুব ভয়ানক ভাবে চোট পেয়েছে যাতে কোনোভাবেই তাদেরকে বাঁচানো সম্ভব নয়। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে অনেকেই। গভীর রাত পর্যন্ত এই বিমানের উদ্ধার কার্য চালিয়েছে কেরালা পুলিশ তার সাথে ছিল দমকলকর্মীর ও উদ্ধারকর্মীরা।
উদ্ধারকাজের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর সাহায্যে বেশকিছু উদ্ধারকর্মীরা এসেছিল এবং তারা তাদের সাহায্যে এই কাজ খুব সহজ ভাবে হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত দুটো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সমস্ত আহত যাত্রীদের। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে তিনি যে অবস্থায় বিমানটিকে ভাঙতে দেখেছিলেন সেই অবস্থা টা ভয়ঙ্কর। সেখানে এসে দেখেন যে এবং সাথে সাথে উদ্ধার কাজ চালানো শুরু হয়ে যাই। তার সাথেই দমকলকর্মীরা আসার পর তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ করেই উদ্ধার কাজ চালানোর সময় দেখা যায় সিটের নিচে বেশ কিছু বাচ্চা চিৎকার করছে এবং বাঁচার জন্য আর্তনাদ করছে। সেই দৃশ্যটা ভাবা যায় না কারণ এই কষ্টের দৃশ্য দেখাও যায় না চোখে। যদিও সবাইকে এখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে 173 জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি 18 জন নিহত হয়েছে।