
হাজার সংবাদ ডেস্ক: এবার সাইবারক্রাইমের চক্করে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। বেশ কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন মানুষের সাথে সাইবার ক্রাইম ঘটনায় পরিচিত বিভিন্নভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হচ্ছিল। এবার তাঁর মুখোমুখি হয়েছে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। বহুদিন ধরে চলা এই ঘটনাকে মিডিয়া সামনে এনেছেন তিনি।
জানিয়েছেন যে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। কিন্তু অতটা গুরুত্ব দেননি প্রথমে। তবে প্রত্যেক মাসে টাকা কেটে নিয়ে একটা মেইল আস্ত। তারপর এই ঘটনা দেখে তিনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানাই এবং তারপর বুঝতে পারেন যে তিনি সাইবারক্রাইমের চক্করে পড়েছেন। বহু দিন তিনি গুগল প্লে তে কোন এক গেম এর জন্য তিনি তার কার্ড ডিটেলস সেখানে দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই হয়তো এই টাকা কাটা হচ্ছে প্রত্যেক মাসে।
Red Alert-be careful while u do Online transaction with international merchants. if u save the card detail, high possiblity of fraudulent act- I have just claimed back abt Rs1.5 lacs from Play Station network. filing legal case – but it's a hassle. @TOIIndiaNews @bhaswati10
— Arpita Chatterjee (@ArpitaCP) July 11, 2020
দুই থেকে তিন মাস ধরে যেভাবে টাকা কেটেছে তাতে তিনি বুঝতে পারছিলেন না কেন কাটছেন সেই টাকা। তারপর তিনি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বুঝতে পারেন প্রতিমাসে যে টাকা কাটা হয়েছে সর্বমোট করলে তার পরিমান অনেক, প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। অর্থমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন যে সমস্ত ভারতীয় পরিষেবায় ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের জন্য ফোনে একটা করে ওটিপি আসে বা অনলাইন পরিষেবার জন্য ফোনে একটি ওটিপি দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিষেবা গুলোর জন্য কেন ফোনে কোন ওটিপি আসেনা। টাকা তোলার আগে গ্রাহকদেরকে কেন কোন মেসেজ আসে না? টা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তিনি।
আরও পড়ুনঃ একটা ক্লিকে ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা!
তা নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে আবেদন করেছেন এই বিষয়ে তিনি যেন তা নিয়ে খতিয়ে দেখেন। যাতে সাধারন মানুষের টাকা পয়সা যেনো না এভাবে খোয়া যায়। সাইবারক্রাইম কথাটা এখন বড্ড ম্যান্ডেটরি হয়ে গেছে। তিনি জানিয়েছেন এই ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে বহু মানুষ প্রতারণার জালে জড়াবে। এই প্রতারণার মুখ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি কেউ কার্ড ডিটেলস পাই তাতেই যদি একাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায়। তাহলে মানুষের চলা অনেক বিপদের হবে।
তাই যথেষ্ট নজর রাখার জন্য তিনি আবেদন করেছে অর্থমন্ত্রী কে। সাধারণ মানুষকে এবং অন্যান্য অনুরাগীদের সচেতন করতে তিনি টুইটারে তার সমস্ত কথা লিখে পাঠিয়েছে। সবাইকে অনেক সচেতন থাকতে বলেছেন তার সাথে তিনি বলেছেন যে কোথাও কোন একাউন্টে যদি দেওয়া থাকে, আর অকারনে টাকা অবশ্যই ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করার পর তিনি তার টাকা ফেরত পেয়েছেন প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস পর। এতো গুলো টাকা ফেরত পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। তাই সাধারন মানুষ যাতে সচেতন থাকে তাঁর জন্য তিনি এই পোস্ট করে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনারা বয়কট করলো ৮৯টি চিনা অ্যাপ!