
হাজার সংবাদ ডেস্ক: দেশে এখন ঊর্ধ্বমুখী করোনা। পরিস্থিতি কিভাবে আটকানো যাবে কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও তৈরি হচ্ছে না। তৈরি হচ্ছে না কোনো প্রতিষেধক ঔষধ যা দিয়ে কমানো যায়। এদিকে হু করে বেড়ে চলছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক মতে খুঁজে পাচ্ছেনা আর এদিকে তারমধ্যে পতঞ্জলি সংস্থা জানিয়েছে যে তারা তৈরি করেছে করোনার প্রতিষেধক বা ঔষধ। এটি খেলে আর করোনা হবেই না এবং করোনা হওয়া রোগীরা খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে সাত দিনের মধ্যেই।
এরমধ্যে শাশড়ি ও করনিল নামে একটি মেডিসিন সামনে নিয়ে আসে হয় পতঞ্জলির তরফ থেকে। কিন্তু সেই ওষুধ প্রতিষেধক নয় তা মামলার চাপে মুখ থেকে বেরিয়েছে রামদেবের। যোগী গুরু রামদেব জানিয়েছে এই ক্রনার মেডিসিন নয় তারা কোন করোনার ওষুধ তৈরি করেনি। তবে কিভাবে এই মেডিসিন বাজারে তারা নিয়ে আসতে চেয়েছিল ভন্ডামি করে এবার প্রকাশ পেয়েছে মাদ্রাসার এক আদালতে। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বোঝা যায় যে রামদেবের সংস্থা থেকে কোন করোনা মেডিসিন তৈরি হয়নি। তারা সামান্য জ্বর সর্দি কাশি ওষুধ তৈরি করার লাইসেন্স নিয়ে ওষুধ করোনা ওষুধ বাজারে বিক্রি করা বেআইনি টা সিয়াক্র করেছে।
যেখানে তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা ফেল সেখানে কিনা এক ভেষজ পদ্ধতিতে ওষুধ নিয়ে আসবে রামদেব। সবাই অবিশ্বাস থাকলেও বাজারে এই ওষুধ কয়েকদিনেই ছড়িয়ে দিয়েছিল রামদেব। এর আগে পতঞ্জলি সংস্থার ওপর 75 কোটি টাকা জরিমানা করেছে এই করা হয়েছে গারহকদের থেকে বেশি দামে দ্রব্য বিক্রির জন্য। মামলা দায়ের করার পর তারা জানিয়েছে যে ওষুধ বাজারে দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগের কথা অনুযায়ী হঠাৎ করেই তারা বন্ধ করেছিল এই মেডিসিন তৈরীর কাজ।
এই মেডিসিন টা ব্যবহার করা হতো কীটনাশক মারার জন্য অর্থাৎ চাষের জন্য কীটনাশক মারতে পতঞ্জলি এই করনিল মেডিসিন তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে বাজারে করোনা প্রতিষেধক হিসাবে সবার আগে নিয়ে এসেছে বলে দাবি করেছিল। তবে মামলার চাপে বাধ্য হয়েছে বলতে যে তারা কোন মেডিসিন তৈরি করেনি তারা কোন মেডিসিন নিয়ে আসেনি। এখন তাদের সংস্থার একেবারে কোণঠাসা অবস্থা। মামলা দায়েরের পর সত্যি কথা স্বীকার করল রামদেব।